


তাই ভাষাগত, শব্দব্যঞ্জনগত শুদ্ধতা, তাল-লয় -এসব বিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই প্রাথমিক। তাই এই লেখায় এসব ভাষাবিজ্ঞানগত তাত্ত্বিক উপাদান খুঁজতে যাওয়া অর্থহীন হবে। আমি চেষ্টা করেছি বাংলা ভাষায় দীর্ঘ শব্দ রাখতে, তবে তা দীর্ঘতম – এমন দাবি আমি করছি না। আমি চেষ্টা করেছি, অংক (সংখ্যা) রাখতে, যাতে ফন্টের অবয়বটা টের পাওয়া যায়। আমি চেষ্টা করেছি যুক্তাক্ষর রাখতে, যতিচিহ্ন রাখতে,… অর্ধমাত্রার অক্ষর, পূর্ণমাত্রার অক্ষর, মাত্রাহীন অক্ষর, কার-ফলাযুক্ত শব্দ, বাক্যের এখানে-ওখানে রাখতে।
বাংলা সব অক্ষর রাখার একটা চেষ্টা ছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ – আমি শেষে এই চেষ্টা করাটাকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করলাম। এ-তো আর বাংলা ভাষার আগার হচ্ছে না, এ হলো পরম্পরাহীন, কিংবা তাৎপর্যপূর্ণ একটি লেখা, যা বাংলা ভাষার প্রতিনিধিত্ব করবে টাইপসেটিং, প্রিন্টিং, ইন্ডাস্ট্রিতে কিংবা ওয়েব ডিযাইনে।